জার্মানিতে নববর্ষ উদযাপনের একটা গণতান্ত্রিক চেহারা আছে। এখানে বেশ বড় আতশবাজি পোড়ানো হয় না যেমনটা আমরা দেখি সিডনি, নিউইওর্ক বা লন্ডনে। সাধারণ মানুষই সুপারমার্কেট থেকে আতশবাজি কিনে সেটা পুড়িয়ে একটা উৎসবের আবহ তৈরি করে।
ব্যক্তিউদ্যোগে কেনা এইসব আতশবাজি খুব বড় কিছু হয় না। গতবছরে ফ্রাঙ্কফুর্টে মাইন নদীর তীরের নববর্ষ উদযাপনের দৃশ্যটি ছিলো এরকম।
মাইন নদীর তীরে নববর্ষ উদযাপন ২০২৩
আমার ধারণা ছিলো সবাই ব্যক্তিউদ্যোগে গোটাকয় আতশবাজি কিনে মধ্যরাতে সেগুলো পোড়ায়। এবার টিকটিকে কিছু পোস্ট দেখে সেই ধারণা বদলেছে। জার্মানিতে আতশবাজি সারাবছর বিক্রি হয় না। মূলতঃ ক্রিস্টমাসের পরে এর বিক্রি শুরু হয়। এই আতশবাজি কিনতে সুপারমার্কেটের সামনে সকাল ৬টার আগে লোকে লাইন দিয়ে বসে থাকে। দোকান খোলামাত্র হুড়মুড় করে ঢুকে বিশৃঙ্খলভাবে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। টিকটিকে ৪ হাজার ইউরোর আতসবাজি কিনেছে এরকম পোস্টও দেখতে পাচ্ছি। এ ধরণের ব্যাপার আগে কেন জানতাম না সেটা ভেবে আশ্চর্য লাগছে। কিছু ভিডিও দেখুন –
ভোরে সুপারমার্কেটগুলতে এরকম উন্মাদনা চলে এটা এতো বছর জার্মানি থেকে জানা হয়নি। টিকটকের কল্যাণে জানা হলো!